তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের থমকে যাওয়া অংশ খতিয়ে দেখতে এসে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম মণিশ জৈন বললেন,সমস্যা মেটাতে কথা চলছে।এদিন ডিআরএম কামারপুকুর,গোঘাট রেল স্টেশন ঘুরে দেখেন।২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকার সময় তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল পথের ঘোষনা করেন।তারকেশ্বর থেকে রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়।ওপর দিকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকেও শুরু হয় কাজ।গোঘাটের ভবাদিঘীর উপর দিয়ে রেল পথ তৈরীতে আপত্তি জানায় স্থানীয়রা।রেল জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে ভাবাদিঘী বাঁচাও কমিটি তৈরী করে শুরু হয় আন্দোলন।সেই আন্দলনের জের ভাবাদিঘীর জট আদালতে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যায়।
রেলের ডি আর এম এলাকায় এলেও ভাবাদিঘী বাঁচাও কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেননি।মাঝে মধ্যেই আধিকারিকরা এলাকায় আসেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের সাথে কোন যোগাযোগ বা আলোচনা তারা করেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা। কিছু দিন আগে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ভবাদিঘি জট কাটায় তড়িঘড়ি কাজ শুরু হবে। কিন্তু কিভাবে জট কাটল,কাদের সাথে আলোচনা হল তা ভাবাদিঘীর লোকজন জানেন না।
আন্দোলনকারী দিলীপ পন্ডিত বলেন,আমরা চাই রেল হোক এবং তা দিঘী বাঁচিয়ে হোক।কোর্ট বলে দিয়েছে জলাশয় নষ্ট করে কোনো কিছু হবে না।কোর্টের নির্দেশেই কাজ বন্ধ আছে।গোঘাটের পর থেকে ভবাদিঘী পর্যন্ত এবং ভাবাদিঘীর পর থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। মাঝে শুধু মাত্র ভাবা দিঘীর অংশে কাজ হয়নি।আর এর জন্যই থমকে আছে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প।ডিআরএম মণিশ জৈন বলেন,হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত যে রেললাইনের কাজ চলছে বা যতটুকু কাজ বাকি আছে আগামী দু’বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।ভাবা দিঘীর মানুষের যে সমস্যা,তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি। রেললাইনের যে নকশা তার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।তবু যতটা সম্ভব যদি পরিবর্তন করতেই হয় সেটি করা হবে।বেশি পরিবর্তন করা যাবে না।কারণ একটি রেল লাইন তৈরি করতে যে সমস্ত রেলব্রীজ তৈরি করতে হয়,সেগুলি প্রায় শেষ হয়ে গেছে।কামারপুকুর স্টেশন সম্বন্ধে তিনি বলেন,লাইন চালু হলে যেগুলি অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে সেগুলিকে মেরামতি করে দেওয়া হবে।