সিত্রাং পরিনত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপে। পশ্চিমবঙ্গে এই ঝড়ের প্রভাব সেভাবে না পড়লেও মঙ্গলবার ভোরে ঝড় আছড়ে পরতে চলেছে বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দীপের মধ্যবর্তী স্থানে।এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও অরুনাচল প্রদেশে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।বাংলাদেশেই ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর। পশ্চিমবঙ্গেই সবথেকে বেশি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই রাজ্য গুলিতে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশে। অসমের কাচার, করিমগঞ্জ ও হালাইকাণ্ডিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিজোরামের ১১টি জেলায়, ত্রিপুরার ৮টি জেলায় ও নাগাল্যান্ডের ১৬টি জেলাতেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য ত্রিপুরায় আগামী ২৬ অক্টোবর অবধি স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। আগামী এক সপ্তাহের জন্য বাতিল করা হয়েছে সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে সিত্রাংয়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। রবিবার মধ্যরাত থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিন বঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।সোমবার থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।ইতিমধ্যেই এই জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা করতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × four =