২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে। ইতিমধ্যেই শাসক বিরোধী সরব হয়েছে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে। সম্প্রতি দক্ষিণ 24 পরগনার সাগর বিধানসভায় রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার লিস্টকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনীতি। শুরু হয়েছিল শাসক বিরোধী তরজা। ভুয়ো ভোটার লিস্ট ইসুতে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। এবার রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ভুয়ো ভোটারের সন্ধানে ময়দানে নামলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। সাগর বিধানসভার রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের খানসাহেব আবাদ সহ বেশ কিছু গ্রামে ভুয়ো ভোটারের সন্ধানে বাড়ি বাড়ি ভোটার লিস্ট নিয়ে স্কুটিনি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা এবং রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী।সংবাদ মাধ্যমের খবরের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুয়া ভোটার খুঁজতে ময়দানে নেমে পড়েন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। গঙ্গাসাগরের রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের খানসাহেবআবাদ গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যান মন্ত্রী নজরে আসে ৫৯ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে রাজু সেখ নামের এক ব্যক্তির, মন্ত্রীর দাবি এই নামে এই এলাকায় কেউ থাকে না এটি ভুয়া ভোটার। এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করছে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন জনসংযোগ নেই। বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে সাগর বিধানসভায় প্রচুর ভুয়ো ভোটার রয়েছে মৃত মানুষের ভোট নিয়ে সাগর বিধানসভার বিধায়ক ভোটে জয়লাভ করেছে। কিন্তু বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যখন থেকে সাগর বিধানসভা তৈরি হয়েছে তখন থেকে সাগর বিধানসভায় নির্বাচনের সময় কোন অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় না। আবাদ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়। ভোট দিতে বাধা এবং বুথ জাম করা কোন কিছুই এই বিধানসভায় হয় না। যারা অভিযোগ করছে যে মৃত মানুষের ভোট নিয়ে সাগর বিধানসভায় জয়লাভ করেছে বিধায়ক। তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে কোনো প্রকার জনসংযোগ করে না তারা। মানুষের সুখে দুঃখে তৃণমূল পাশে থাকে। যে ভোটার লিস্ট নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করছে সেই ভোটার লিস্ট পুরনো ২০২৫ এর নতুন ভোটার লিস্টে মৃত মানুষের নাম গুলি বাদ গিয়েছে। পুরনো ভোটার লিস্ট নিয়ে রাজনীতির ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। নতুন ভোটার লিস্টের যে সকল ব্যক্তিরা মারা গিয়েছে তাদের নাম সরকারিভাবে বাদ যাওয়ার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। কয়েক মাস পরে সেই নাম বাদ চলে যায়। অভিযোগ করার মত বিরোধীরা কোন কিছু না পেয়ে এই কিছু নিয়ে সরব হয়েছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে সাগর বিধানসভার জুড়ে ভুয়ো ভোটার সনাক্তকরণ করার জন্য প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুটিনী নিয়ে ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।